শেখ খায়রুল ইসলাম,পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি: তারামন বিবির জন্ম ১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার শংকর মাধবপুর গ্রামে। ১৯৭১ সালে তারামন বিবি ১১নম্বর সেক্টরে নিজ গ্রামে ছিলেন। তখন ১১নম্বর সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের।১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রান্না করতেন ১৪ বছর বয়সী তারামন। রান্না করতে করতে অস্ত্র চালাতে শেখেন। তারপর রান্নার খুন্তি ফেলে রাইফেল হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অংশ নেন।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হলেও সে কথা তিনি দীর্ঘ ২৫ বছরেও জানতে পারেননি।১৯৯৫ সালের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে বীরপ্রতীক খেতাবের পদক তুলে দেওয়া হয়। বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মাত্র দু’জন নারীর মধ্যে একজন হলেন  তারামন বিবি। রান্নার কাজের মধ্যে, শত্রুর অবস্থান পর্যবেক্ষণ করতে পাঠানো হত। একজন পাগল মহিলা হওয়ার ভান করে তথ্য সংগ্রহ করতেন মুক্তিযোদ্ধারা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের অপারেশন চালাতেন। মুহিব তাকে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে শিখিয়েছিলেন।ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যদের সাথে কাজ করার সময় 14 বছর বয়সী কিশোরী তারামন কখন যে একজন সৈনিক হয়ে উঠেছিলেন তা বুঝতেও পারেননি।
1971 সালের শ্রাবণ মাসের এক বিকেলে শত্রুরা গানবোট নিয়ে তাদের ক্যাম্প আক্রমণ করার পর তারামন প্রথম পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন।
তাহার ছোড়া বুলেট পাকিস্তানি সৈন্যকে আঘাত করে। তখন আরও বেশি উৎসাহের সাথে ম্যাগাজিন লোড করতেন এবং তাদের উপর গুলি চালাতেন।এভাবে লড়াই করার পর, পাকিস্তানি সেনারা পিছু হাটে। একজন রাঁধুনি থেকে একজন সৈনিকে রূপান্তরিত হয়েছিলেন এই তারামন বিবি।